ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে

আবদুল কাদের সোহেল ◑
‘করোনা ভাইরাস’ সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশও এ বৈশ্বিক মহামারী থেকে মুক্ত নয়। দেখতে শুরু করেছে রোগ বিস্তারের ৩য় স্তর। সারা দেশে চলছে সাধারণ ছুটি বা লকডাউন। তবে তা মানতে আমাদের মধ্যে আছে ঢিলেঢালাভাব।

এ সঙ্কটটি যদি কেবল কোভিট-১৯ রোগ বিস্তারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, তাতেও খুব বেশি দুঃশ্চিন্তার কিছু হতো না। দূর্ভাগ্য হলো এই সঙ্কট শেষ হতে না হতেই শুরু হবে নতুন সঙ্কট- বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা। এ মন্দা অনিবার্য হলেও বাংলাদেশে তার তীব্রতা কমিয়ে আনার বিষয়টি এখনো আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ সময়ে আমরা যত বেশি বাসায় অবস্থান করব, আশু অর্থনৈতিক মন্দার তীব্রতা তত কমে আসবে। কেননা করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক দীর্ঘায়িত হলে মন্দার তীব্রতা বাড়বে। তাই যথাসাধ্য ঘরে থাকুন।

এবারের মন্দা অন্য যে কোন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করতে পারে। আগের সকল মন্দার সৃষ্টি হয়েছে কোন না কোন এক নির্দিষ্ট অঞ্চলের হয় চাহিদা ঘাটতি, নয় যোগান ঘাটতি হতে। পরবর্তীতে তা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবারে চাহিদা-যোগানের দ্বৈত ঘাটতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে যুগপৎভাবে পুরো বিশ্ব। তাই এবারের আশু মন্দা মোকাবেলায় আমাদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। ঘরে থাকার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কিছুদিন পর এ সুযোগও আমাদের হাতে আর থাকবে না।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও জগৎ বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন যদিও মন্দা নিয়ে কিনচিৎ আশার বানী শুনিয়েছেন। তবে সাবধানও করেছেন। তিনি বলেছেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব। এমনকি উপযুক্ত ব্যবস্থা সুন্দর ভবিষ্যতের ভিতও রচনা করতে পারবে। তবে চলমান করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক আরো দীর্ঘায়িত হলে অর্থনৈতিক মন্দা সকলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। দয়া করে সময় থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজনের এ সংক্রান্ত লেখাটি দেওয়া হলো-

“Economically speaking, India is faced today with perhaps its greatest emergency since Independence. The global financial crisis in 2008-’09 was a massive demand shock, but our workers could still go to work, our firms were coming off years of strong growth, our financial system was largely sound, and our government finances were healthy. None of this is true today as we fight the coronavirus pandemic. Yet there is also no reason to despair. With the right resolve and priorities, and drawing on India’s many sources of strength, it can beat this virus back, and even set the stage for a much more hopeful tomorrow.”

লেখক, উপপরিচালক
বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম